বাংলাদেশ–ভারতের জল–সম্পর্কের ভবিষ্যত শুধু নয়াদিল্লি ও ঢাকা কী ভাবছে তা দিয়ে নির্ধারিত হবে না, সেই সঙ্গেই তা নির্ভর করবে কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্ক এবং আন্তঃসীমান্ত জল–নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় অবস্থানের উপর।
যাতায়াতের হাঙ্গামা, বাসস্থানের অপ্রতুলতা, পরিকাঠামোগতদুর্বলতা, বায়ু দূষণ, জমির বেআইনি ব্যবহার, ক্রমবর্ধমান অপরিকল্পিত এলাকা আজকের দিল্লির কয়েকটি প্রধান সমস্যা।
বিশিষ্ট নগর-ব্যবস্থার উত্থান সব সময় সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নির্ধারিত হয় না, অধিকাংশ সময়েই তার পিছনে থাকে ইতিহাসের বোধ ও তাকে ঘিরে থাকা রাজনৈতিক রাজধানী।
আরও লিঙ্গ-সংবেদী বিদেশনীতির পথ নিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় মহিলাদের স্থায়ী উপস্থিতির সুযোগ তৈরি হবে, যা প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রটিকে প্রসারিত করবে এবং প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠে ভাষা দেবে।
আসুন আমরা বাড়ি ও কর্মক্ষেত্রকে আরও বেশি লিঙ্গবৈষম্যহীন করে তুলি, গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলি, একই কাজের জন্য একই রকম বেতন চালু করি, এবং এই অতিমারীর সময় মহিলারা যে অসাধারণ কাজ করেছেন তাঁদের প্রাপ্য অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল এই সংলগ্ন এলাকাই শুধু নয়, সারা দক্ষিণ এশিয়ায় অসংঠিত বাজারের প্রলোভনের শিকার এই অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে তাঁদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবে কে বা কারা?